দীর্ঘ প্রতীক্ষার বৈঠকেও মিলল না সমাধান সূত্র। কার্যত কোনও সমাধান সূত্র ছাড়াই শেষ হল কেন্দ্রীয় সরকার ও বিক্ষোভকারী কৃষকদের বৈঠক। মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় ধরেই কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, পীষূষ গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেন বিক্ষোভকারী কৃষকদের ৩২টি সংগঠন। ইতিমধ্যে কৃষি আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছে ৫০০টি কৃষক সংগঠন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩২টি সংগঠনের সদস্যদের কেন বৈঠকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি পরবর্তী বৈঠকে প্রত্যেক সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে বলেও এদিনের বৈঠকে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

অন্যদিকে এদিনের বৈঠক সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন কেন্দ্র চাইছে কৃষকরা অবিলম্বে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিক। কিন্তু কৃষকরা তাতে এখনও রাজি হয়নি। আগামী ৩ ডিসেম্বর পরবর্তী আলোচনার দিন নির্ধারিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অপরদিকে, এদিনও আন্দোলনকারী কৃষকদের দিল্লি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাল্টা কৃষকরা দিল্লি ঢোকার রাস্তা অবরুদ্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে। সাধারণ পথ চলতি মানুষের জন্য দিল্লি পুলিশ নয়ডা থেকে ইউটার্ন নিয়ে অক্ষরধাম ফ্লাইওভার ব্যবহার করার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।