বাংলাদেশের পুলিশ আগেই চিহ্নিত করেছিল কুমিল্লার বিতর্কিত পুজোমণ্ডপে রাতের অন্ধকারে কোরান শরীফ গ্রন্থ রেখে যাওয়া লোকটিকে । এবার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই পুলিশ হাতে নাতে পাকরাও করলো অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে। জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কক্সবাজার থেকে বছর পঁয়ত্রিশের ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজই পেশ করা হবে আদালতে । তাকে জেরা করেই পুলিশ খোঁজ শুরু করেছে বাকি অভিযুক্তদের।
বুধবার জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন,সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করার পরে তার বিস্তারিত পরিচয়ও পাওয়া গিয়েছে। লোকটির নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা শহরের সুজানগরে। উল্লেখ্য, উৎসবের আবহে বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চিহ্নিত এই ব্যক্তি মসজিদ থেকে কোরান নিয়ে এসে, পুজো মণ্ডপে রেখেছিল! তারপরেই তাকে ধরতে চিরুনীতল্লাশি শুরু হয়। প্রথমে তিনি পালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই ইকবালের পরিবারের লোকজন তাকে চিহ্নিত করে। জানা গিয়েছে যে, পেশায় রং মিস্ত্রি হলেও সে আদতে নেশাখোর। জানা গিয়েছে, এর আগেও একাধিক অপকর্মের সাথে নিজেকে সে যুক্ত করেছে । তবে, এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, হিন্দুদের ওপর পরিকল্পিত হামলার যে ছক কষা হয়েছিল, তাতে ইকবালকে ব্যবহার করল কারা? কারা ভবঘুরে ইকবালকে নির্দেশ দিয়েছিল কোরান দুর্গাপুজো মণ্ডপে রেখে আসতে? এখন সেই খোঁজই চালাচ্ছে পুলিশ।