ছত্রিশগড়ে জওয়ানদের মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া| একের পর এক মৃত্যুর খবরে তোলপাড় দেশ| চারদিন আগে ওই হামলায় অপহৃত জওয়ানের ছবি প্রকাশ করল মাওবাদীরা। বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই একেবারে নিখোঁজ ছিলেন কোবরা কমান্ডো বাহিনীর কনস্টেবল রাকেশ্বর সিং মিনহাস। গত সোমবার স্থানীয় এক সাংবাদিকের সূত্র মারফৎ জানা যায় যে, কোবরা কমান্ডো রাকেশ্বর সিং নাকি মাওবাদীদের হেফাজতে রয়েছেন। মাওবাদীদের শীর্ষ নেত্রী মাধবী হিদমা নাকি নিজে ফোন করেছিলেন ওই স্থানীয় সাংবাদিককে।তারপরই তাঁর ছবি প্রকাশ করল মাওবাদীরা। রাকেশ্বর সিং এর ছবিটি সম্ভবত কোনও মাওবাদী ক্যাম্পেরই। ওই ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কোবরা কমান্ডো রাকেশ্বর একটি প্লাস্টিকের মাদুরের উপরে বসে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রথমে মুক্তিপণের দাবি না করলেও পরে ওই কমান্ডোকে নিয়ে বিবৃতি জারি করে দর কষাকষির ইঙ্গিত দিয়েছে মাওবাদীরা। তাদের দাবি অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে দর কষাকষিতে রাজি তারা। তবে তার আগে মধ্যস্থতাকারীর নাম জানাতে হবে সরকারকে। তবেই মুক্তি দেওয়া হবে বন্দি জওয়ানকে| গত মঙ্গলবারই পুরো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বন্দি জওয়ানের মেয়ের একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে কান্না ভেজা গলায় একরত্তি বছর পাঁচেকের মেয়েটির আবেদন শোনা গিয়েছে, “আমার বাবা যেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসে।” তাঁর স্ত্রী মীনা জানিয়েছেন টিভি থেকেই রাকেশ্বরের নিখোঁজ হওয়ার খবর পান তিনি| হামলায় কমান্ডোর নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত ভেঙে পড়েছে তার পরিবার।এমনকি জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংকেও রাকেশ্বরের স্ত্রী মীনা আবেদন করেছেন, দ্রুত তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। দীৰ্ঘ অবসানের পর অবশেষে মাওবাদীরা বন্দি জওয়ানের ছবি প্রকাশ্যে আনল।শনিবার ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২২ জন জওয়ানের|পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ২৫-৩০ জন মাওবাদীও সংঘর্ষে মারা গিয়েছে। তবে সংঘর্ষের পর থেকে রাকেশ্বর নামে ওই জওয়ানের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরই সোমবার স্থানীয় এক সাংবাদিকের কাছ থেকে জানা যায় যে, রাকেশ্বর রয়েছেন মাওবাদীদেরই হেফাজতে।মুক্তিপণ দিলে কোবরা কমান্ডোর মুক্তি হবে|