কষি আইন সহ কেন্দ্রীয় সরকারের সাতদফা নীতির বিরোধিতায় বনধ ডাকে বাম কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনগুলি। পাল্টা বনধের বিরোধিতায় পথে নামল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার হাওড়ার শিবপুর থেকে হাওড়া ময়দান পযর্ন্ত মিছিল তৃণমূল কর্মী সর্মথকরা। এদিন মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায়।

এদিন বনধের বিরোধিতায় মিছিল করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ব্যবসায়ী দোকানপাট খোলা অনুরোধ করেন। এদিন অরুপ রায় বলেন, “এরাজ্যে বামফ্রন্ট ছিল বলে জানা ছিল না। বড়সড় বির্পজয় গুলোতে এদের দেখা যায় না। বছরে দুটো ধর্মঘট ডেকে ঝান্ডা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। আর মানুষকে শুধু হয়রানী করে।” এদিন বনধের বিরোধীতা করে তাঁর দাবি “হাওড়ায় কোনো বনধ হয়নি।”

অন্যদিকে বলে রাখি, এদিন ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব হাওড়া পড়েছে জেলায়। ধর্মঘটের সর্মথনে এদিন উলুবেড়িয়া ফ্লাইওভারের নিচে বেশ কিছু বাম সর্মথক রেল লাইনের উপর বসে অবরোধ শুরু করে। ফলে হাওড়া-খড়গপুর ডিভিশনে কুড়ি মিনিট বন্ধ থাকে রেল চলাচল। রেল পুলিশের তৎপর আবারও স্বাভাবিক হয় রেল চলাচল। নিমদীঘি মোড় এলাকায় এলাকায় ১৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করলে উলুবেড়িয়া থানা পুলিশের তৎপরতায় পনের মিনিট পর অবরোধ তুললে যানযট মুক্ত হয় জাতীয় সড়ক। পাশাপাশি জগৎবল্লভপুরের লস্করপুর এলাকায় বনধ সফল করতে রাস্তায় বসে চলে পাশা খেলা। এছাড়া উদয়নারায়নপুর,ডোমজুর সহ একাধিক এলাকায় মিছিলের করে সর্মথনকারীরা। অবরোধ হয় শলপমোড়,বালি,রানীহাটি,
ধুলাগড় সহ একাধিক এলাকায়।