আট থেকে আশি কম-বেশি সকলেরই প্রিয় ডেসার্ট আইসক্রিম। তাই বারোমাসই রকমারি আইসক্রিমের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কম দামি থেকে বেশি দামি সবরকমের আইসক্রিমই বাজারে সহজলভ্য। তবে, কখনো কি শুনেছেন আপনার প্রিয় আইসক্রিমের দাম ছয় লক্ষেরও বেশি! হ্যাঁ? ঠিকই শুনেছেন! সম্প্রতি, একটি মাত্র আইসক্রিম স্কুপের দাম নাকি প্রায় 6 লাখ টাকা। সম্প্রতি এমনই এক চমকে দেওয়ার মতো আইসক্রিমের হদিশ মিলেছে। যা ইতিমধ্যে জিতে নিয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আইসক্রিমের শিরোপা। আর এই দামের জন্যই নাম উঠেছে গিনেস বুকের পাতাতেও। ব্যাকুয়া নামের আইসক্রিমটি নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েছে আইসক্রিম প্রেমীরা। সেই অবাক করা আইসক্রিমের খবর ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।

জাপানের সিলেটো নামের এক সংস্থায় তৈরি হয় এই আইসক্রিম। তবে কী কারণে এমন আকাশছোঁয়া দাম আইসক্রিমের? আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থাটি জানিয়েছে, আইসক্রিমের স্কুপটি তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কায়দায়। সোনার পাতা রয়েছে আইসক্রিমের উপকরণে। এছাড়াও আইসক্রিমের মধ্যে রয়েছে হোয়াইট ট্রাফল ও প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি চিজ। ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকায় প্রতি কেজি হোয়াইট ট্রাফল ইতালির আলবায় ফলানো হয়। এছাড়াও পারমিজিয়ানো রিজিয়ানো চিজও রয়েছে এই বিশেষ আইসক্রিমের উপকরণের তালিকায়। রয়েছে দামি উপকরণ সেক লিস। আর তাই এমন উপকরণ দিয়ে তৈরি আইসক্রিমের যে একটু বেশি দাম হবে সেটাই স্বাভাবিক!
টুইটারে আইসক্রিমের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে আইসক্রিমের উপকরণগুলি দেখানো হয়েছে। আপাতত সব মিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় ৫,৫৩,৭৭২ টাকার বিশেষ আইসক্রিমটি সারা বিশ্বের আইসক্রিম প্রেমীদের নজর কেড়েছে। শুধু তাই নয়, স্বীকৃতি পেয়েছে গিনিস বুকেরও।

এই আইসক্রিমটি তৈরি করেছে জাপানি আইসক্রিম ব্র্যান্ড সেলটো। সেলাটো তার ওয়েবসাইটে এই আইসক্রিমের নাম দিয়েছে হোয়াইট নাইট। সেলতো গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে জানিয়েছেন, এই আইসক্রিম তৈরিতে জাপানি ও ইউরোপীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এই আইসক্রিমটিকে দর্শনীয় করে তুলতে ওসাকা ভিত্তিক রিভি রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ তাদায়োশি ইয়ামাদার সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে, এই আইসক্রিমটি শুধুমাত্র জাপানে পাওয়া যাবে এবং অনলাইনে অর্ডার করার পর এটি সরাসরি আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।