ধসে ভেঙ্গে পরা রাস্তা পরিষ্কার করতে না করতেই, ফের ধস নামল পাহাড়ে। ফের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল সমতলের সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ। অতিভারী বর্ষণের জেরে বিধ্বস্ত পাহাড়। মুহুর্মুহু ধস নামছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশে, সিকিম ও উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে। অতিবৃষ্টির জেরে সোমবার রাত থেকে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে পাহাড়ি এলাকাগুলি। কালিম্পং-এর বিরিক দারায় ধস নামার কারণে বুধবার বিকেল পর্যন্ত বন্ধ ছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তা পরিষ্কার করে জন্য চলাচল শুরু হলেও কিন্তু ফের গতকাল রাতে ধস নামে বিরিক দারায়। যার জেরে শিলিগুড়ির সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পাহাড়ে এই বিপর্যয়ের জেরে বিপত্তির মুখে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক ও ট্রেকাররা। হিমাচলে ট্রেকের উদ্দেশ্যে বেরোনো বাংলার সাত ও দিল্লির এক জন ট্রেকারসহ তাঁদের তিন রাঁধুনির খোঁজ মেলেনি এখনও। তবে দুর্যোগ-দুর্ভোগের মধ্যেও প্রাণ হতে করে বাংলার অন্য কয়েকটি দলের কেউ কেউ দিল্লি হয়ে বিমানে কলকাতায় ফিরেছেন, কেউ কেউ আবার ফেরার ট্রেন ধরেছেন কাঠগোদামে। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা অফিসার দেবেন্দ্র পটোয়াল জানিয়েছেন, আট ট্রেকার ও তিন রাঁধুনির দলটি হরশিল থেকে ছিটকুলের পথ ধরে ১১ অক্টোবর। ১৯ তারিখ তাদের ছিটকুলে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু সেদিন দলটি না-পৌঁছনোয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে খবর দেন ট্রেকিংয়ের উদ্যোক্তারা। হেলিকপ্টার নিয়ে এই দলটির খোঁজখবর ও উদ্ধারের প্রস্তুতি চলছে। অপরদিকে, উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জন যাচ্ছে, রবিবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। চার দিন তসেখানে থেকেই প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি।