আজ ইয়াসে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এগিয়ে এলেন, ৮৯ নং ওয়ার্ডের ১৯৫ ও ১৯৫-A পার্টের কিছু যুবক। যৎসামান্য রেশন, জল এবং জামাকাপড় নিয়ে ” ত্রাণ উৎসবে” সামিল হয়ে নামখানা ব্লকের মদনগঞ্জ গ্রামে পৌঁছান তাঁরা। আজকের এই ত্রাণ উৎসবে উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন, তৌহিদ, জোহেব, তানবির, নূর, বিনোদ, সন্টু, মেহবুব,তারিক। শুধু তাই নয় তাঁদের পাশাপাশি আরও অনেকের পরিশ্রম এই প্রচেষ্টাকে সফল করেছে।
গত ২৬ শে মে ইয়াস নামক সুপার সাইক্লোন এই বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় যে তান্ডব চালায় তার ফলে বিপর্যস্ত হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ৩০০ জনের ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে হাজির হন তাঁরা। পঞ্চায়েতের এক সদস্যকে সঙ্গে নিয়েই প্রকৃতির এই ভয়াবহ তাণ্ডবের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান তাঁরা। ইয়াসের এই তাণ্ডবের ফলে মাঠের ফসল পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, শুধু তাই নয় পাশাপাশি জল সংকটে ভুগছেন এলাকার মানুষেরা । বেশিরভাগ মানুষের আয়ের উৎস এখনও জলমগ্ন । একে ইয়াস তার উপর ভরা কোটালের জলস্ফীতিতে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
আজ ত্রাণ দেওয়ার পরে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তাঁরা বলেন, “পারলাম কি ? তাঁদের সাহায্য করতে ! কি দিতে পারলাম, কতটা দিতে পারলাম, সেটাকে পাশে সরিয়ে রেখে আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন আজ তাঁদের কাছে আমাদের একান্ত আবেদন আপনারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকার ইয়াসে বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ান | হোক আবার মানবতার জয় | যারা আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আমাদের বাহুকে শক্ত করেছিলেন তাঁরা হলেন দীপক দা ও ভানু দা, ইরফান নুর, তারিক আজিজ, প্রজ্ঞাদি ও পরমা, প্রিয়ান্কা দে ও শতাব্দী দি, ভিক্টর, আজহার ভাই ও ইসমাইল, এছাড়া আমরা সদস্যরা তো রয়েছি । সকলকে জানাই অসীম ধন্যবাদ।”