পশ্চিমবঙ্গের কোভিড সংক্রমণ যখন মাথা চাড়া দিয়ে উপরে উঠছে ,ঠিক সেইসময় ভোটের আবহে ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হল ৩৬টি ভ্যাকসিন সেন্টার। অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যিই ঘটেছে মহানগরীর বুকে। যেখানে সার্ভের রিপোর্ট বলছে বিপুল মাত্রায় করোনার টেস্ট করানো হলে মহানগরীতে প্রতি দুজনের একজন হতে পারেন কোভিড পজিটিভ , সেখানে গত ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে টেস্টিং সেন্টার। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ কলকাতার চার কেন্দ্রে ভোটের জন্য ২২টি ভ্যাকসিন সেন্টার এবং লালারস সংগ্রহ কেন্দ্র বন্ধ ছিল। তবে এখানেই শেষ নয় ,আজ থেকে ফের বন্ধ থাকতে চলেছে ধর্মতলায় সবচেয়ে বড় টিকাদান কেন্দ্রটিও। বর্তমানে টিকাদান কেন্দ্র এবং কোভিড টেস্টের কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকার কারণে বিপুল সংখ্যায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পেশ করা বুলেটিন অনুসারে, রাজ্যে একদিনে মৃত ৭৩ জন এবং সংক্রমণ ১৬ হাজার ৪০৩ জন। যেখানে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে সেখানে দুদিনের জন্য করোনার টেস্টিং এবং টিকাদান কেন্দ্র গুলি বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাওয়া হলে কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সুব্রত রায় চৌধুরী বলেন, “মূলত ভোটদান কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার কারণেই বন্ধ করা হয়েছে ওই সমস্ত ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার।” শুধু তাই নয় পাশাপাশি তিনি বলেন টেস্ট কিটের অভাবের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে এই সেন্টার গুলি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাঘাযতীনের একটি হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ,নাম লেখানোর তিন দিনের আগে সম্ভব নয় করোনা পরীক্ষা। এমনকি ব্লক হাসপাতাল থেকে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টার বেশি টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য সরকার সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন পরিষ্কার তথ্য সামনে আসেনি। মাদ্রাজ হাইকোর্টের করা অভিযোগকে আরও একবার সত্যি প্রমাণ করে দিল নির্বাচন কমিশন । এখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, করোনার এই রূপ বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও অষ্টম দফার ভোট গ্রহণ নিয়ে কোন বিকল্প সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে? গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে যদি বাকি সাধারণ মানুষকে মরতেই হয় তাহলে কিসের গণতন্ত্র?