রাজ্যে একদিকে যেমন করোনা সংক্রমণে নাজেহাল মানুষ তেমনি গোদের উপর বিষফোঁড়া অজানা জ্বর। আসন্ন তৃতীয় ঢেউ প্রভাব ফেলবে শিশুদের উপরেই। রাজ্যের কোন হাসপাতালে শিশু শয্যা কত রয়েছে তার একটি তালিকা প্রকাশ করল স্বাস্থ্য দপ্তর। এসএনসইউ,পিকু,নিকু বেডের কার্যকরী সংখ্যা কত তার একটি খসড়া প্রকাশিত হল। রাজ্যে শিশু চিকিৎসায় সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানিতে না পড়তে হয় তাই এমন ব্যবস্থা বলে জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। উল্লেখ্য কোভিডের প্রথম ঢেউ চলাকালীন সময় হাসপাতালে বেডের অভাবে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্যই এই বিজ্ঞপ্তি। উৎসবের মরসুমের আগেই দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন থার্ড ওয়েভের মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের উপর। অজানা জ্বরে নাকাল রাজ্যের সদ্যোজাত থেকে ১০ বছর বয়সী পর্যন্ত শিশুরা। গ্রামীণ হাসপাতাল,মেডিক্যাল কলেজ,ব্লক হাসপাতাল ও জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পেড্রিয়াটিক,পিকু, নিকু,বেডের সংখ্যা সাধারণের সুবিধার্থে প্রকাশিত হয়েছে।
চলতি মাসে অজানা জ্বরের দাপটে জলপাইগুড়ি,মালদা,সহ বেশ কয়েকটি জেলায় শিশু বেডের সংখ্যার অপ্রতুলতা চোখে পড়েছে। শিশুদের আইসিইউ ,পেড্রিয়াটিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৭৯। কলকাতার SSKM এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে সদ্যোজাত দের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ারের সংখ্যা বর্ধিত করা হয়েছে। রাজ্যের যে ২১ টি হাসপাতালে পিকুর সংখ্যা ছিল ২৪৪ সেখানে আরও ২৪৪ টি বেড যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের কাঠামোগত উন্নতিতে এয়ার কন্ডিশন রুম,নেগেটিভ প্রেসার ভেন্টিলেশনের সু বন্দোবস্ত করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজ,বি সি রায় মেডিক্যাল কলেজের আয়তায় কিছু হাসপাতাল সংযুক্তিকরনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যাতে রোগী ভর্তির চাপ কিছুটা কম করা যায়।