অপারেশনের পরই এক মহিলার আকস্মিক মৃত্যুকে ঘিরে শনিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থানা এলাকার মহারাজনগর গ্রামে। মৃত ঐ মহিলার নাম মমতা মান্ডি (১৯) ।বাড়ি পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থানার মহারাজনগর গ্রামে।মৃত ঐ মহিলার স্বামী বলদেব মুর্মু জানান,মাত্র তিন মাস আগে মমতার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই তারা মমতার বাপের বাড়ি নিতুড়িয়া থানার মহারাজনগর গ্রামেই থাকত । শুক্রবার পেটে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে তার স্বামী বলদেব মুর্মু তাঁকে নিতুড়িয়া থানা এলাকার পারবেলিয়াতে অবস্থিত একটি বেসরকারী নাসিংহোমে ভর্তি করেন।গৃহবধূর অবস্থা সংকটজনক বুঝতে পেরে নাসিংহোমের চিকিৎসেরা অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন।
সেইমত শুক্রবার দুপুরের দিকে ঐ গৃহবধূর অস্ত্রপ্রচার করা হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাঁকে নাসিংহোমের চিকিৎসকরা আসানসোলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মৃত ঐ মহিলার স্বামী বলদেব মুর্মু আরও জানান,আসানসোলে নিয়ে গিয়েও তার স্ত্রীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় শুক্রবার রাতের দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঐ হাসপাতালে ভর্তির আগেই মৃত্যু হয় গৃহবধূর। শনিবার রঘুনাথপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে দেহটি রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে রঘুনাথপুর থানায় নিয়ে আসে ।রঘুনাথপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিনই মৃত দেহটি রঘুনাথপুর থানার পুলিশ পুরুলিয়ার হাতুয়াড়াতে অবস্থিত গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। অপরদিকে এদিন ঘটনার খবর পেয়ে ঐ মহিলার গ্রামের বাসিন্দারা সহ অন্যান্যরা নিতুড়িয়া থানার পারবেলিয়াতে ওই বেসরকারী নাসিংহোমে গিয়ে অভিযুক্ত ডাক্তারকে ঘেরাও করে তার উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির সামাল দেয়।