ক্ষমতা দখলের পরেই ২০ বছর আগের কঠোর শাসন রীতিনীতি পুনরায় কার্যকর করা হবেনা এমনটাই জানানো হয়েছিল তালিবানদের পক্ষ থেকে।এই তালিবান নাকি সম্পূর্ণ নতুন,পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না এ কথাও শোনা গিয়েছে তালিবানিদের মুখে। ভারত সহ বিশ্বের বাকি দেশের কাছে সহযোগিতার আর্জিও জানিয়েছে তারা। কিন্তু নতুন সরকার যে পাকিস্তান-পন্থী হবে, ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সর্ব ক্ষেত্রে ইসলামাবাদকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জঙ্গি সংগঠনের মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ। বৃহস্পতিবার অনেকগুলি ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন,“২০ বছর যুদ্ধ করে ধ্বংসের মুখে চলে গিয়েছে আমাদের দেশ। এখন শান্তি প্রয়োজন আফগানিস্তানের। বিধ্বস্ত দেশকে সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা ভারত-সহ সব দেশের সাহায্য চাই।” কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়েই পাকিস্তানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে একথা জানাতেও ভোলেননি তিনি।
ভারত-পাকিস্তান বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,“ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি আলোচনায় বসে বকেয়া সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলুক, আমরা এটাই চাই। আলোচনাই একমাত্র যুক্তিগ্রাহ্য পথ।” এবিষয়ে তালিবান যে কোনরকম মন্ত্যবই করবেনা এমনটা সাফ জানিয়ে দেন তিনি।অপরদিকে,তালিবানরা যতই ভারতের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানাক আপাতত সে পথে কোনোভাবেই হাঁটতে রাজি নয় দিল্লি। কান্দাহার বিমান অপহরণের কথা মনে রেখেই এই সিদ্ধান্ত ভারতের। আপাতত তালিবান জঙ্গিদের প্রতি কঠোর মনোভাবই বজায় রাখতে চায় ভারত।