‘কোল্ড ওয়ার’-এর পর সামরিক শক্তির শক্তি বৃদ্ধি করে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চিন। আর ‘ড্রাগন’এর দৌলতে এশিয়ার শক্তির একচেটিয়া অধিকার যেন দখল করে নিতে চাইছে চিন। এই পরিস্থিতিতে দেশটির গতিবিধি নজরে রেখে জন্য চুক্তিবদ্ধ হল আমেরিকা এবং তাইওয়ান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জলে চিনা নৌবহরের আগ্রাসনের দিকে চোখ রেখে সাক্ষরিত হয়েছে আমেরিকা ও জাপানের উপকূল রক্ষা বাহিনীর মধ্যে চুক্তি।
তাইওয়ানের আমেরিকান দূতাবাস থেকে জানানো হয় দুই দেশের মধ্যে সাক্ষরিত চুক্তিতে
রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, তথ্যের আদান-প্রদান ও কৌশলগত সহযোগিতার মত বিষয় গুলি।তাইওয়ানের প্রধান, সু সে চ্যাং জানান, “গত জানুয়ারি মাসে নিজের নৌবাহিনীর জন্য একটি নতুন আইন প্রনয়ণ করে চিন। যাতে অন্যদেশের জাহাজ বা নৌকা চিনে অনুপ্রবেশ করলে তার ওপর আক্রমণ চালানোর অধিকার দেওয়া হয় উপকূলরক্ষাবাহিনীকে।যার ফলে আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠে তারা, তাই ওই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেন চুক্তিটি সাক্ষরিত হয়েছে।
গতবছর চিনের ওপর চাপ বাড়াতে তাইওয়ানকে মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আমেরিকা।সেবার ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেয় মার্কিন সরকার।এর পরেও মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার তাইওয়ান গিয়ে গনতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রতি আমেরিকার পূর্ন সমর্থন আছে বলে জানান। এর পর চিন এবং তাইওয়ানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাইওয়ানকে সমস্তরকম ভাবে সাহায্য করবে আমেরিকা। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।