দীর্ঘদিন স্বামী ও বোনের মৃতদেহ আগলে অবিচল ভাবে বসে রইলেন মহিলা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ওলা বিবিতলা এলাকায়। আজ সকালেই ওই বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরোতে দেখে কী ঘটেছে খতিয়ে দেখতে যান স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশীরা। গত কয়েকদিন ধরে ওই পরিবারের কাউকেই দেখা যায়নি বাড়ির বাইরে। সেই কারণেই সন্দেহ আরও ঘোরতর হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাড়ির মেন গেট খোলা পেয়ে সোজা তিনতলাতেই উঠে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানে তাঁরা যা দেখেন তা দেখে কার্যতই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান যে তাঁরা গিয়ে দেখেন তিনতলার একটি ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে মহিলার স্বামী নিশীথ রঞ্জন মন্ডল (৭৫) এবং মহিলার বোন অনিতা ঘোষের(৬০) মৃতদেহ। আর সেই দুটি পচতে থাকা দেখকে আগলে নির্বিকার মুখে বসে রয়েছেন নিশীথ বাবুর স্ত্রী পাপড়ি মন্ডল। এর পরই স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি খবর দেন চ্যাটার্জিহাট থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কিন্তু কবে কীভাবে মৃত্য হয়েছে স্বামী ও বোনের তার কিছুই বলতে পারেননি পাপড়ি দেবী। যার ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ৪-৫ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে দুজনের।এই ঘটনায় করোনাতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী,এই এলাকাতে ভাড়ায় থাকতেই ওই পরিবারটি। পাপড়ি দেবী ও নিশীথ বাবুর একমাত্র সন্তান মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় কিছুদিন আগেই চিকিৎসার জন্য অ্যাসাইলামে পাঠানো হয় তাঁকে। যার পর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন পাপড়ি দেবীও। এই ঘটনায় যে তীব্র চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়,তা বলাই বাহুল্য।