আরজি কর কাণ্ডে আজ নবান্নে আসেন আন্দোলনকারি চিকিৎসকের ৩২ জনের প্রতিনিধি দল। কিন্তু বৈঠক হল না, ভেস্তে যায়। চিকিৎসকদের জন্য প্রায় দু-ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে বেরিয়ে যায়। তৃতীয় বারেও ভেস্তে গেল বৈঠক।
সাংবাদিকদের সামনে আন্দোলনকারি চিকিৎসকেরা বলেন, ‘আজ আলোচনা হতে পারল না প্রশাসনিক জটিলতার জন্য। আমরাও হতাশ। চেয়ারের ওপর এই বিল্ডিংয়ের ওপর আমাদের ভরসা এখনও আছে, আর সেই ভরসা আছে বলেই আমরা এখনও অপেক্ষা করছি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাসী। লাইভ স্ট্রিমিং করতে চেয়েছিলাম, কারণ আমরা চেয়েছিলাম রাজ্যের মানুষ জানুক সরকারের সঙ্গে আমাদের কি আলোচনা হচ্ছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য লাইভ স্ট্রিমিং চেয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য হতাশাজনক। আমরা এ’দিন অনায্য দাবি করিনি। আমরা ওনার চেয়ারের দাবিতে এখানে আসেনি।’
এদিন চিকিৎসকেরা বলেন, ‘আমরা ইগোর লড়াই করছি না। আমরা ডাক্তার। চেয়ার ফেলে দেওয়ার আমাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই। আমাদের বিশ্বাস আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। তদন্তের ওপর আমাদের ভরসা ছিল। আগে কলকাতা পুলিশের ওপরেও আমাদের ভরসা ছিল, সিবিআইয়ের ওপরেও আমাদের ভরসা আছে। আমাদের পাঁচটি শর্ত ছিল, সেই নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। আজ মুখ্যমন্ত্রীর ডাকেই নবান্নে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার জন্য এই বৈঠক হল না। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ছোট ছেলে-মেয়ে বলেছেন। আমরা কেউ বাচ্চা নই। আমাদের বাইরে থেকে কেউ পরিচালিত করছে, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।’
এ’দিন জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তাদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে।