জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো বলেছে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বিপুল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে তাকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী সাইটের “বিপদজনক” তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়ে নি, আক্রমণের নিশানা অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এতে আরও বলা হয়েছে যে, জলের গুণমান উন্নয়নে মূল লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করা হয়নি।
পরিবেশমন্ত্রী সুজ্যান লে বলেছেন, জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা অতীতের আশ্বাসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে অস্ট্রেলিয়া এই তালিকাটিকে চ্যালেঞ্জ করার পরিকল্পনা করেছে যা পরের মাসে একটি বৈঠকে অনুষ্ঠিত হবে এবং বলেন : “স্পষ্টতই এর পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির মতলব আছে এবং স্পষ্টতই এই রাজনীতি একটি যথাযথ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করছে।”
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি চীন এর সভাপতিত্বে একটি ২১-দেশীয় দল, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাঁদের ক্যানবেরার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। লে বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তন হ’ল বিশ্বের সকল রিফ ইকোসিস্টেমের জন্য একক বৃহত্তম হুমকি … এবং জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মধ্যে ৮৩ টি প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পত্তি রয়েছে তাই অস্ট্রেলিয়াকে কেবল একা রাখা ঠিক নয়।”
এখানে বলাবাহুল্য যে পরিবেশবিদের দলগুলি বলছে যে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ার দুর্বল জলবায়ু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছে। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ পৃথিবীর চরমত প্রাকৃতিক আশ্চর্য, সে কি আজ সত্যিই ক্ষতির মুখে?