অনুব্রতর গড়ে দাঁড়িয়েই তাকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ’দিন অনুব্রতকে উদ্দেশ্য করে বীরভূমের নলহাটির সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম ওকে লোটা কম্বল নিয়ে তিহারে যেতে হবে।‘ এই ভবিষ্যদ্বাণী এখন হুবহু মিলে গেল। শুভেন্দু উপহাস করে বলেন, ‘তিহাড়ে কচি পাঁঠার ঝোল, লুচি ছোলার ডাল এইসব পাওয়া যাবে না।‘
দুবরাজপুর মামলায় আদালত থেকে জামিন পেলেন অনুব্রত। ফলে ইডির হাত ধরে তাঁর দিল্লি যাওয়ার পথ পরিষ্কার হয়ে গেল। এদিকে আবার বীরভূম তৃণমূলের প্রাক্তন সহ সভাপতি বিপ্লব ওঝা নিজের দল ছেড়ে শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান করলেন বিজেপিতে। আজ নলহাটির সভায় হাসিমুখে শুভেন্দুর সভায় বসতে দেখা গেল তাঁকে। অভিষেকের ডিসেম্বরে দড়জা খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি উল্টো চালে তাঁকেই বিঁধল এবার। পঞ্চায়েতের আগে বঙ্গ বিজেপির কাছে এটা একটা মাস্টারস্ট্রোক। নলহাটির সভা থেকে লাগাতার আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন,’অনুব্রত বীরভূমের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। আমরা যে বীরভূমকে তারাপীঠ খ্যাত ও শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বীরভূম বলে চিনি, আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।‘
আরও পড়ুন