তৃণমূলের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়। বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে বিজেপি বিধায়কদের তুমুল শোরগোল। এদিন বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব আনেন হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন। প্রস্তাবের সপক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘জন বারলা মানুষকে ভুল বোঝাতে শুরু করেন। পৃথক উত্তরবঙ্গের কথা বলেন। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়কও বাংলা ভাগের কথা বললেন।’ এরপরেই ধনখড়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মন্ত্রী। ফিরহাদের অভিযোগ, ‘রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পিছন থেকে সাপোর্ট করতেন।’
ফিরহাদের এমন মন্তব্যের পরেই শোরগোল শুরু করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বাকি বিজেপি বিধায়কেরা। শেষে অবশ্য জগদীপ ধনখড়ের প্রসঙ্গ রেকর্ড থেকে বাদ দেন স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়।ফিরহাদের এমন মন্তব্যের পরেই শোরগোল শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বাকি বিজেপি বিধায়কেরা। শেষে অবশ্য জগদীপ ধনখড়ের প্রসঙ্গ রেকর্ড থেকে বাদ দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি বিধায়কেরাও এদিন অংশ নন বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আলোচনায়। বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা থেকে দীপক বর্মণ উত্তরবঙ্গের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন অধিবেশন কক্ষে। বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যের কোনও পরিকাঠামো নেই। নিউরো ফিজিশিয়ান নেই।পঞ্চানন বর্মার প্রতিকৃতিতে বিধানসভায় মালা পর্যন্ত দেওয়া হয় না।’ পাশাপাশি, বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘অনীত থাপা গোর্খাল্যান্ডের নাম করে ভোটে জিতেছে। গোর্খাল্যান্ডের নাম করে যারা রাজনীতি করে সেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের জোট ছিল।’
এদিকে, এদিন বিধানসভায় আচমকাই এলেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার দুপুরে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে আসেন মেদিনীপুরের সাংসদ। দিলীপ বিধানসভায় আসার কিছু পরেই বিধানসভায় আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দিলীপ-শুভেন্দু। বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের উপর আলোচনা থাকায় বৈঠক হয় সংক্ষিপ্ত আকারে।