শনিবার নির্বাচনী ভাষণে নাম না করে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই ভারত ঘরে ঢুরে মারে। আতঙ্কবাদীদের গুরুঠাকুরেরা আকাশ বা পাতাল যেখানেই গা ঢাকা দিক মোদির হাত থেকে রেহাই নেই। মোদি ঠিক খুঁজে বের করবেই।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার জম্মুতে নির্বাচনী সভা করেছেন। ২০১৬ সালের এই দিনে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্টাইক করেছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। কাশ্মীর দিয়ে পাকিস্তানের আকাশ সীমা অতিক্রম করে জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা ফেলে ভারতীয় বাহিনী। স্বভাবতই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আট বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জুড়ে ছিল সেই দিনটির কথা।
ভারতীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়েই হিন্দুস্থানকে নিশানা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। জবাবি ভাষণে পাক প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধুনো করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। ফলে দুই দেশের অস্থির সম্পর্ক আরও তেঁতে ওঠে মোদীর জম্মু সফরের আগেই। দশ বছর পর জন্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট হচ্ছে। উগ্রবাদীরা ভোট বানচালের চেষ্টা চালালেও সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা ছাপিয়ে ভোটের লাইনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পাক জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। ভারতীয় সেনা ছাউনি পাক জঙ্গি হানার বদলা নিতে ২০১৬-র ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেন ভারতীয় বায়ু সেনা।
শরিফ রাষ্ট্রসংঘের ভাষণে কাশ্মীরকে ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। জবাবে পাকিস্তানকে জঙ্গিদের আশ্রয় দাতা বলে পাল্টা আক্রমণ করেন ভারতের প্রতিনিধি। শরিফ ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক সুরক্ষার ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের দাবি তোলেন। ২০১৯-এ মোদি সরকার ওই বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ৩৭০ বাতিল করে দিয়ে।