আলুর ফলন ভালো হলেও যথেষ্ট দাম না পাওয়ায় মাথায় হাত হাওড়া জেলার আলু চাষিদের। জেলার উদয়নারায়ণপুর,আমতা,জয়পুর,জগৎবল্লবপুর,বাগনান ও শ্যামপুর এলাকায় ব্যাপকভাবে আলুর চাষ হয়। এবছরও ভালোই ফলন হওয়ায় বেশ খুশি হয়েছিল দরিদ্র কৃষক পরিবারগুলো। স্বাভাবিকভাবেই আশা ছিল, ভালো দাম পাবেন। কিন্তু কোথায় কি। ফলন অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না বলেই জানাচ্ছেন আলু চাষিরা। কৃষকদের অভিযোগ, টাকা খরচ করে আলু চাষ করলেও মিলছে না নায্যমূল্য। ফলে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কায় করছেন তাঁরা।
আমতার এক আলুচাষী অনুপ পল্যে জানান, “এবছর সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে একবিঘা জমিতে আলু বসিয়েছিলেন। তিন প্যাকেট আলুবীজের জন্য পনেরো হাজার টাকা,জমিতে হাল,সেচ,কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ বাবদ মোট বাইশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ বৃহস্পতিবারের বাজার মূল্য প্রত্যেক ৫০ কেজি প্যাকেট ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হওয়ায় ষাট প্যাকেট আলু বিক্রি করে আঠারো হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করবেন তা ভেবে দিশেহারা ওই চাষি।
একই কথা বলেছেন, উদয়নারায়ণপুরের পিয়ারাপুরের এক আলুচাষিও। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও বাজারে আলু চল্লিশ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ার কারণ কী? তাঁর অভিযোগ, চালাকি করছে মহাজনদের একাংশ। ওই আলুচাষির মতে, রাজ্য সরকারের উচিত বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখা উচিত। এভাবে চলতে থাকলে পরিবারের সদস্যছদের নিয়ে ভিক্ষে করতে হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।