এবার নারীকণ্ঠের উপর ফতোয়া জারি করল তালিবান। তাঁদের কাছে বিনোদন মানেই হারাম। বিনোদনের সঙ্গে নিজেকে জড়িত দেখলেই তার জন্য খুলে যায় নরকের দরজা । সেই কারণে এবার গোটা আফগানিস্তান জুড়ে বন্ধ হল নারীকন্ঠের সম্প্রচার। সুর, গান ,কাব্য, শিল্পচর্চার কোন মূল্যই নেই তালিবানদের কাছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা, আর সেই কারণে এবার একের পর এক শিল্পীদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে তারা। ক্ষমতায় আসার জন্য বেশ কয়েকটি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গিয়েছিল তালিবানদের। আর তা দেখেই সাধারণ মানুষের মনে সামান্য আশাটুকু বেঁচে ছিল যে তালিবানি শাসন কালে হয়ত গণমাধ্যমগুলোতে গান বাজনার সম্প্রচার দেখতে পাবেন তারা। তবে আজ তা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করল তালিবানরা।
এই প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের প্রাক্তন অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মাসুদ আন্দরাবি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশের এক খ্যাতনামা লোকসংগীত শিল্পী হলেন ফওয়াদ আন্দরাবি। গতকাল রাত্রে তাঁকে তার বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে নিশংস ভাবে খুন করা হয়। শুধু তাই নয় এর আগেও এক কৌতুক শিল্পীকেও খুন করে তালিবানরা। তাদের দাবি অনুসারে তাদের শাসনকালে কোনোভাবেই গান-বাজনা ও বিনোদন চলবে না সে দেশে। আর যে এই সীমালংঘন করবে তার জন্য মৃত্যু অনিবার্য।