আগামীকাল থেকেই জমে ওঠার কথা গঙ্গাসাগর মেলা । তবে প্রতিবারের মত চেনা ভিড় এবার উধাউ । করোনাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর থেকে কঠোরতর করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে । প্রত্যেক পুণ্যার্থীদের ক্ষেত্রে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক । এবারে যারা শারীরিক ভাবে মেলা প্রাঙ্গনে আসতে পারছেননা তাঁদের জন্যে সরকারের তরফ থেকে অনলাইনে মেলা দেখার এবং ই-স্নানের ব্যবস্থা করেছে সরকার । দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে অনলাইনে গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল ও প্রসাদ অর্ডার দিলে বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন পুণ্যার্থীরা । মেলা প্রাঙ্গনের তৎপরতা খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় গত ৭ই জানুয়ারি নিজে সেখানে গিয়েছিলেন । এমনকি সমস্ত মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরেই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন মেলা নিয়ে ।

এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের তরফে সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধই থাকবে । তারপরেই আউট্রাম ঘাটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কোভিড বিধি পালন করে গঙ্গাসাগরে স্নান করতে হবে। এই সময় কারোর কিছু হলে রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ বিমার ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা পাওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মেলার বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড, সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোনে ক্রমাগত চলছে নজরদারি ৷ সাগরে এই মুহূর্তে বহু মানুষের সমাগম ঘটলেও অন্যবারের তুলনায় এই সমাগম প্রায় কিছুই নয় । তবে প্রশ্ন থাকছেই, করোনা কালে এমন এক জমায়েতের মেলা অনুষ্ঠিত করার কি খুব প্রয়োজন ছিল । যেখানে অন্যান্য রাজ্যের যে কোন জমায়েতের উৎসবের পর সংক্রমণ আরও বেড়েছে সেখানে এই উদাহরণ রাজ্যের কাছে কি কিছুই নয় নাকি মেলার দৌলতে বিনিয়োগ এবং পরিবহন ব্যবস্থার লাভের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত ?