৩৬৫ দিন আগের কথা। আজকের দিনেই গতবছর চিরতরে তারাদের দেশে চলে গেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। একরাশ অভিমান নিয়েই কি? মাঝখানে একটা বছর কাটলেও আজও অমীমাংসিত তাঁর মৃত্যু রহস্য। আজও জানা যায়নি তাঁর এই চলে যাওয়াটা নিছকই আত্মহত্যা নাকি গভীরতম কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন অতি মেধাবী এই অভিনেতা? উত্তর জানা নেই কারও কাছেই। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরও তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক। এমনকি হাজতবাস অবধি করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের শেষ প্রেমিকা তিনিই। সুশান্তের মৃত্যুর পর যেন গোটা দেশেরই চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর আবেগঘন পোস্ট পড়ে এবার চোখ ভিজল দেশবাসীর। সুশান্তের সঙ্গে নিজের একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করেন রিয়া। তিনি লেখেন, “এক মুহূর্তের জন্যও আমি বিশ্বাস করি না যে তুমি এখানে নেই। সবাই বলে যে, সময় সব সারিয়ে দেয়। কিন্তু তুমিই ছিলে আমার সময়, আমার সব কিছু। আমি জানি তুমি এখন আমার অভিভাবক দেবদূত। চাঁদে বসে টেলিস্কোপ দিয়ে আমায় দেখছ এবং রক্ষা করছ।”
রিয়া আরও লেখেন, “আমি রোজ তোমার জন্য অপেক্ষা করি, ভাবি যে তুমি আসবে এবং আমায় নিয়ে যাবে। আমি সব জায়গায় শুধু তোমাকেই খুঁজি। আর সেটা রোজ একটু একটু ভেঙে ফেলে আমাকে। আর তারপরই আমি ভাবি তুমি বলছ, বেবু, তুমি পেরেছ। আর এভাবেই আমি পা রাখি পরের দিনে। যখনই আমি ভাবি যে তুমি নেই, তখনই একটা বাধা আমাকে, আমার শরীরকে আঘাত করে। এটা লিখতেও আমার কষ্ট হচ্ছে। তুমি নেই এটা ভাবলেও আমার কষ্ট হয়। তোমায় ছাড়া জীবন একেবারেই অর্থশূন্য। তুমি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার জীবনের মানেটাও মানেটাও চলে গিয়েছে। এই শূন্যস্থান কখনও পূরণ হওয়ার নয়। তোমায় ছাড়া আমি থমকে গিয়েছি। আমার মিষ্টি সূর্যের প্রখর, আমি কথা দিচ্ছি, প্রতিদিন তোমায় মালপোয়া দেব, ফিজিক্সের বইগুলোয় পড়ব। প্লিজ আমার কাছে ফিরে এসো। তুমি আমার প্রিয় বন্ধু, আমার প্রেমিক, আমার ভালোবাসা। সারাজীবনের জন্য বেবু ও পুটপুট!” রিয়ার এই আর্তিতে সত্যি সত্যিই স্তব্ধ দেশবাসী। স্বজন হারানোর যে যন্ত্রনায় পুড়ছেন রিয়া তার সত্যিই বর্ণনা অসম্ভব। অ্যাস্ট্রোনট হতে চেয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু তিনি যে এভাবে সত্যিই সবাইকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাবেন তারাদের দেশে,তা মেনে নিতে পারেননা কেউই, আজও। তাই আমাদেরও আজকের দিনে বোধহয় একটাই কথা বলার, তারাদের দেশেই ভালো থাকবেন চ্যাম্প! নিজের সাম্রাজ্যে।