২০০৭-এর ১০ নভেম্বর, নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর প্রতিবাদে আজ নন্দীগ্রাম স্মরণসভাকে ঘিরে জোর তরজায় তৃণমূল-বিজেপি। এদিন বিজেপির স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে লেখেন, ‘নন্দীগ্রাম শুধমাত্র একটা জায়গার নাম নয়। নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস যা কোনওদিনই ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।’ আজ দুপুরে গোকুলনগরের কর পল্লিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতিতে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন নিজের টুইটারে শুভেন্দু লেখেন, ‘নন্দীগ্রাম শুধমাত্র একটা নাম বা জায়গার নাম নয়। নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস যা কোনওদিনই ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। নন্দীগ্রাম হল আন্দোলনের মাটি, রক্ষার মাটি, আশ্রয়ের মাটি, বিশ্বাসের মাটি। নন্দীগ্রাম আগেও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে।’ এদিন অতীতের ওই ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘রক্তস্নাত সূর্যোদয়ের আজ ১৪ বর্ষপূর্তি। নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষা আন্দোলনের সকল অমর শহীদদের সশ্রদ্ধ প্রণাম।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এতদিন নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটিই স্মরণসভার আয়োজন করা হত। কিন্তু বিজেপিতে যোগদানের আগেই গতবছর থেকে এখানে একটি আলাদা স্মরণসভার আয়োজন করছেন শুভেন্দু। এছাড়াও আজ নন্দীগ্রামে স্মরণসভার আয়োজন করেছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটিও। কিন্তু এই প্রথম বার তৃণমূলের পাশাপাশি শুভেন্দুর উদ্যোগে বিজেপির তরফেও আলাদাভাবে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। সকালে গোকুলনগরের কর পল্লিতে স্মরণসভায় তৃণমূলের তরফে উপস্থিত থাকবেন কুণাল ঘোষ, তাপস রায়, দোলা সেন-সহ নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতারা। এরপর দুপুরে সেই একই জায়গায় স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে।