আজ দেশজুড়ে পালিত হবে মহিলা কৃষক দিবস। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘদিন ব্যাপী কৃষক আন্দোলনের এটি একটি নতুন কর্মসূচি। এআইকেএসসিসি খোলা চিঠিতে জানিয়েছে, কৃষিপ্রধান এই দেশে ৭৫ শতাংশ কৃষি শ্রমিক মহিলা। দেশের মহিলা কৃষকদের জমির পাশাপাশি সামলাতে হয় নিজের ঘর। সারাদিন পরিবারের নানান কাজ সামলে মাঠের কাজও দেখতে হয় তাঁদের। কিন্তু তাদের জন্য কোন আলাদা অর্থ বরাদ্দ থাকে না। পরিবারের সমস্ত কাজ সামলে মহিলারা চাষের কাজে ব্যবহৃত পশুদের জন্য খাবার, তাদের পরিচর্যা ইত্যাদি সামলে থাকেন। শুধু নিজের পরিবারের নয় সামগ্রিকভাবে সমাজ ও অর্থনীতিতে এই মহিলা কৃষকদের অবদান অনস্বীকার্য । কিন্তু কোনো স্বীকৃতি মেলেনি এই মহিলা কৃষকদের। এই স্বীকৃতির দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এই কৃষক আন্দোলনের বিভিন্ন কৃষি ইউনিয়নের সদস্যরা।
পাশাপাশি কেন্দ্রের এই নয়াকৃষি আইনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে বলা হয়েছে, নয়াকৃষি আইন ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছে মহিলাদের উপর। যে সমস্ত মহিলা কৃষকেরা সারাবছর অপুষ্টির শিকার হচ্ছেন, তাদেরকে পুষ্টিকর খাদ্য দেয়ার জন্যই এ পি এমসির ফসল কেনার গ্যারান্টি চেয়েছেন কৃষকেরা। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে বার্ধক্যজনিত কারণে যে সমস্ত মহিলা কৃষকেরা কর্মস্থানে পৌঁছোতে পারেননা তাদেরকে আর্থিক অনুদান বাবদ প্রতি মাসে 10 হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য এবং যে সমস্ত কৃষকদের বিভিন্ন সময়ে ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করতে হয়েছে তাদের পরিবারের মহিলাকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। নিজেদের এই স্মারকলিপিতে আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে এই আন্দোলনের কথা । প্রায় পাঁচশোর বেশি কৃষক সংগঠন ৫৪ দিন ধরে যে তীব্র আন্দোলন করে চলছেন সেই আন্দোলনের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১২৫ জন কৃষকের। সে ব্যাপারে কেন্দ্রের প্রতি বিদ্বেষের চিহ্ন ছেড়ে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।