দেশজুড়ে চলছে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি একটি পুণ্যদিন হিসেবে পালন করা হয়। কথায় আছে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। আর এবছর মহামারির দাপট কাটিয়ে মকর সংক্রান্তির পূর্ণলগ্নে ভোর হতে না হতেই গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে।
প্রচলিত রীতি অনুসারে এই দিনটিতেই নতুন চাল, গুড়, নারকেল দিয়ে ধানের গোলা পুজো করা হয়। এছাড়া, যে কোনও জলাশয়, নদী বা সঙ্গমে স্নান করে সূর্যপ্রণাম করলে মোক্ষযোগ লাভ হয় বলেও হিন্দুদের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে। সেই বিশ্বাসের উপর ভর করে আজও গঙ্গাসাগরে চলে পুণ্যস্নান। লক্ষ লক্ষ ভক্ত সাগরের জলে ডুব দিয়ে মোক্ষ লাভের আশায় পুজো করছেন। সকাল থেকেই কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেওয়ার দীর্ঘ লাইন। ভিড় সামলাতে তৎপর রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও।
বিভিন্ন এলাকায় খোলা হয়েছে ক্যাম্প, প্রতিমুহূর্ত নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা।বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে দুই সারমেয় রোমিও ও লিলি । এছাড়া আকাশপথেও চলছে নজরদারি।
গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি হাওড়া বাবুঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটে চলছে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হয়েছে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে, চলবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। যাঁরা গঙ্গাসাগর যেতে পারেননি, তাঁরা বাবুঘাটেই সারছেন পুণ্যস্নান। ভোরবেলা থেকে গঙ্গার ঘাটগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। পুণ্যার্থীদের জন্য নিরাপত্তারক্ষায় রয়েছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ, এনডিআরএফের কর্মীরা।
আরও পড়ুন