প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে নাটক
করল তৃণমূল। বুধবার অভিনেতার গল্ফগ্রিনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এমনই অভিযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রসঙ্গত অভিনেতার শেষযাত্রায় রঙের বিভেদ ভুলে পা মিলিয়েছিলেন মমতা-বিমানরা। এদিন সেই প্রসঙ্গে অধীরের অভিযোগ, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সৌমিত্রবাবুকে বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণ করেছিল সেই মমতাই এদিন অভিনেতার শেষযাত্রায় সামিল হয়ে নাটক
করছেন।
বুধবার সকালে অভিনেতার গল্ফগ্রিনের বাড়িতে যান অধীরবাবু। সৌমিত্রের মেয়ে পৌলমী বসুর সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি সৌমিত্রবাবুকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ তোলেন অধীর। এদিন তিনি বলেন, যে সমস্ত পদে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বসানো হয়েছিল, ২০১১ সালের পর একটা একটা করে তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত অনেক ছোটোখাটো, মাঝারি, শিল্পীদের সম্মান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কখনও এই সরকার একটা ছোটোখাটো, মাঝারি সম্মান দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সম্মানিত করার জন্য যে সমস্ত জায়গা ছিল, সবকিছু থেকে তাঁকে বঞ্চিত করে দেওয়া হল।’ যদিও বঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর পরই সারাজীবনের অবদানের জন্য সৌমিত্রবাবুর হাতে চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দেন তৃণমূল সরকার। ২০১৭ সালে সৌমিত্রবাবুকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণও দেওয়া হয়।
এদিন রাজ্য সরকারের কাছে অধীর আর্জি সৌমিত্রবাবুর স্মৃতি জীবন্ত রাখতে নিদেনপক্ষে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করা হোক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে সৌমিত্রবাবুর নামে একটি চেয়ার সংরক্ষিত রাখা হোক।