আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদের জের। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জহর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ‘প্রসার ভারতী’র প্রাক্তন সিইও এই কথা জানান। পাশাপাশি, রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জহর সরকার বলেন, ’তিনি গত এক মাস যাবৎ আরজি কর কাণ্ডে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছেন। আর ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুরানো ছন্দে ফিরছেন না। কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘বাঘিনী’ মমতা। কেন তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না!’
২০২১ সালের জুলাইতে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে কেমব্রিজ প্রাক্তনীর নাম প্রস্তাব করে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ হওয়ার পর একাধিক ইস্যুতে দলের সঙ্গে জহর সরকারের মত বিরোধ হয়।
চিঠিতে জহর সরকার স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, ‘কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ, এমন অনাস্থা তিনি আগে দেখেননি।’ এখন সরকার পদক্ষেপ নিলেও অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।
চিঠিতে জহর সরকার আরও লিখেছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন তা রাগের বহিঃপ্রকাশ। এর মূল কারণ শাসক দলের কিছু পছন্দের আমলা, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশীশক্তির আস্ফালন।