গত ২রা, এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ এর ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই, গোটা রাজ্য জুড়ে দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর উঠে আসছে । মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি-কে বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ভোটের পর থেকেই একাধিক জায়গা থেকে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ উঠে এসেছে,যে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে তৃণমূল কর্মীরা দফায় দফায় অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি কর্মীদের ওপর। বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। গতকাল সন্ধে সাতটা নাগাদ রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।মূলত রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের আহবাণ অনুসারী আমন্ত্রণ রক্ষা করতে রাজভবনে পৌঁছান তিনি। সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই রাজভবনে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়াও আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয় গতকাল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এহেন পরিস্থিতিতে দেখে গতকালই রাজভবনে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন বিজেপির একটি কর্মীদের দল। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন ইতিমধ্যে বিজেপির ৬ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে ফোন করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগের প্রসঙ্গে রাজ্যপাল একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে ফোনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। হিংসা, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ, লুঠ ও খুনের ঘটনায় আমি উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এই টুইট সামনে আসার পরই তড়িঘড়ি নিজের বাসভবনে বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি আজ থেকে ফের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা কড়িকড়ি নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন?