
শুক্রবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর শনিবার হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার সকালে সাড়ে ৭টা নাগাদ ইডির দুটি দল কুন্তলের চিনার পার্ক এলাকার একটি আবাসনের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালায়। দিনভর তল্লাশি এবং দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের পর শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনজীবী পিন্টু কাঁড়ার। কুন্তলের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত, নথিপত্রে অসঙ্গতির জন্যই কুন্তলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। কুন্তলের বাড়ি থেকে প্রচুর নথি, বিশেষত ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতারের পর নিউটাউনের আবাসন থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে কুন্তল বলেন, “আমি কোনও টাকা নিইনি। সব তাপস মণ্ডলের ষড়যন্ত্র। তাপস আমার কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ঘুষ চেয়েছিল। সেই ঘুষ দিইনি, বলেই আমার এই হাল।” যদিও প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। কুন্তলের তোলা অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন তাপস মণ্ডলও। তিনি বলেন, “চাকরি দেওয়ার নাম করে কুন্তল আমার পরিচিতদের থেকে যে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে নিয়েছিল তার তথ্য প্রমাণ আমি সিবিআইকে দিয়েছি। আমি বার বার সেই টাকাই ফেরত চেয়েছি। আমি তো তদন্তে সহযোগিতা করছি। আর কুন্তল যাদের থেকে টাকা নিয়েছিল, আগামী সোমবার সিবিআই তাঁদের ডেকেছে। তাঁরাও তথ্যপ্রমাণ দেবেন।”
এদিকে শুক্রবার কুন্তলের পাশাপাশি ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালানো হয়েছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলির বলাগড়ের বাড়িতে। ইডি সূত্রে খবর, সেখান থেকেও বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে শান্তনুকে কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হতে পারে। প্রসঙ্গত, হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি হলেন এই শান্তনু।
আরও পড়ুন