দেশে কোভিডের গ্রাফ ফের উর্দ্ধমুখী| আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক পরিচিত মুখ|এবার আক্রান্ত হলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব| তিনি নিজেই মঙ্গলবার টুইট করে এই কথা জানান|নিজের টুইটার হ্যান্ডেলেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব লেখেন, “আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ। নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছি। সবার কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলুন এবং সুস্থ থাকুন।” প্রসঙ্গত, গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ত্রিপুরাতেও বেড়ে চলেছে কোভিড সংক্রমণ।পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক নির্দেশিকা, বিধি জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে । করোনার মতো মারণ রোগটিকে ঠেকাতে রাজ্যজুড়ে চলছে টিকাদান। গত জানুয়ারি মাসেই বিমান করে আগরতলা পৌঁছায় করোনা ভ্যাকসিনের ৫৬ হাজার ৫০০ ডোজ।
পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড রাজ্যে গিয়ে পৌঁছায় এমবিবি বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর একটি বিমানে করে। বিমানবন্দর থেকেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হয় গোর্খাবস্তির NHM-এর কার্যালয়ে। তারপর সেখান থেকেই প্রতিষেধকটি ত্রিপুরা রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় বিতরণ করা হয়। গত ১৬ ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয় কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া। ওই রাজ্যের ১৫টি সেন্টারে নিয়মমাফিক টিকাকরণ চলছে। স্বাস্থ্য সচেতনার কথা মাথায় রেখে প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে এই প্রতিষেধক।উল্লেখ্য, গত বছরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ঘটছে, ফিরছে সেই বিভীষিকাময় দিনগুলি! গত বছর এই সময়েই করোনার তাণ্ডব চলছিল সারা দেশ জুড়ে। আবার বছর না পড়তেই এই মারণ ভাইরাস নতুন করে তার প্রকোপ দেখাতে শুরু করেছে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের থেকেও কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এই বছরের বেশি অর্থাৎ মাত্রা দ্বিগুন বেড়েছে গত বছরের থেকে । দিন দুয়েক আগেই দৈনিক সংক্রমণের মাত্রা ছাড়িয়েছিল এক লক্ষের গণ্ডি। এবার তা আরও বাড়ল। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রের সেটা বলাই বাহুল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত ৫৫ হাজারেরও বেশি। মহারাষ্ট্র ছাড়াও পাঞ্জাব, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতেও রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছে। এখন দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৮ লক্ষ ১ হাজার ৭৮৫ জন। যা সত্যিই চিন্তার এবং উদ্বেগের|