এরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভের পরেই বাইরের রাজ্যে জমি শক্ত করার কাজে হাত লাগিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় এই নিয়ে যেন প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের সাথে সম্মুখ সমরে নেমেছে তৃণমূল। এবার খোয়াই থানায় বিক্ষোভ অবস্থানের ঘটনায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে তলব করল ত্রিপুরা পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে কুণালকে। ত্রিপুরা পুলিসের তরফ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযুক্ত হিসাবে তলব করে অবিলম্বে কুণাল ঘোষকে হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। এবিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন,”ত্রিপুরাতে বিজেপি জমি হারাচ্ছেন। আর এই ভয় থেকেই এসব কাজ করছেন। হাজিরা দেব, তৃণমূল ভয় পায় না।”
ত্রিপুরায় সংগঠনের জোড় বৃদ্ধি করতে গিয়ে আক্রমনের শিকার হন তৃণমূলের যুব শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপরেই ত্রিপুরায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত চরমে ওঠে। এই ব্যাপারেও মুখ খুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ত্রিপুরা পুলিশকে ব্যবহার করছে বিজেপি সরকার এমনটাই ইঙ্গিত করে তাঁর বক্তব্য,”এটা তো একটা আইনি লড়াই যা ইতিমধ্যেই চলছে। হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে চার্জশিট পেশ করা যাবে না। এখন তারা হয়রান করার জন্য নোটিস দিয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছেন। নিশ্চিতভাবে উপস্থিত হব। তাদের অনুরোধ করব আমার সমস্ত কথোপকথন যেন ভিডিও রেকর্ড করা থাকে। নইলে বিজেপির হয়ে ওরা মিথ্যাচার করছে।”
ত্রিপুরার আগরতলায় হামলার মুখে পড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরপরেই গাড়িতে হামলা, যুবনেতাদের হেনস্থার ঘটনায় খোয়াই থানায় বিক্ষোভ অবস্থান করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। অপরদিকে বিনা সংঘাতে যে ত্রিপুরার জমি ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।