ভোট-পরবর্তী হিংসা এবং করোনা পরিস্থিতির জেরে বেসামাল রামপুরহাটে, একই দিনে পরপর দুটি মৃত্যুর ঘটনায় নাজেহাল রামপুরহাটবাসী। একদিকে বীরভূমের রামপুরহাট হাটতলা মোড় এলাকায় একটি বহু পুরনো ওষুধের দোকানে কর্মরত প্রদীপ মন্ডল নামে এক ব্যক্তি ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল ওষুধের দোকানের পাশের একটি গলিতে। মৃত ব্যক্তির বাড়ি রামপুরহাট থানার সিউড়া গ্রামে। ওষুধের দোকানের পাশাপাশি আরও একজন চিকিৎসকের চেম্বারে দেখাশোনা করতেন তিনি। জানা গিয়েছে, আজ তিনি বেলা নটা নাগাদ চেম্বারে আসেন । ওষুধের দোকানের পাশেই ঝুলন্ত দেহ দেখেই বিষয়টি পুলিশে খবর দিলে রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদের কারনে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন তিনি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ ।
ওদিকে, রামপুরহাট শহরে একই দিনে আরও রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ঘটল এক তৃণমূল কর্মীর। মৃত কর্মীর নাম অশোক মন্ডল, বয়স আনুমানিক ৫২ বছর ,বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি রামপুরহাট হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মেম্বার পদে ছিলেন।পেশায় রামপুরহাট পৌরসভার ঠিকাদার কর্মী। জানা যায় বিগত দু’দিন আগে থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে বাড়ির পাশে প্রাইমারি স্কুলের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁর ছেলে অর্পণ মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন বাবা ঠিকাদার কর্মীর কাজ করতে ফলে বেশকিছু পাওনাদার হয়েছিল, ঈদের আগে পাওনাদারেরা বারবার তাগাদা করতে থাকেন। তাঁর ধারনা তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে বলে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই দুই ঘটনার জেরে রামপুরহাটের দুই ভিন্ন এলাকায় শোকের ছায়া পড়েছে।