সাপের উপদ্রবে প্রাণ ওষ্ঠাগত রাজ্যবাসীর। জানা যায় একই দিনে রাজ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় দুজনের । পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও একজন। তিনজনকেই বাঁকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, তারমধ্যে ইতিমধ্যেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কপাল এবং বুদ্ধির জোরে এখনও পর্যন্ত বেঁচে আছে, দুর্গা হাসদা নামে একটি পনের বছরের মেয়ে। জানা যায় রাত্রিবেলা বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করার সময়, তাঁকে একটি চিতি সাপে কামড়ে দেয়। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সাপটিকে মেরে একটি ড্রামের মধ্যে করে ভরে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোক। ফলে চিকিৎসকরাও খুব সহজেই সাপটিকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু করাই এখনও প্রাণে বেঁচে আছে দুর্গা।
তবে বাকি দুজনের ক্ষেত্রে ভাগ্য সেভাবে সাথ দেয়নি । ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ভাঙাগড় এলাকার শিশু শুভঙ্কর সিং, যার বয়স মাত্র দেড় বছর। জানা যায় বাড়ির উঠোনে খেলা করার সময় একটি সাপে কামড়ে দেয় তাঁকে। পরিবারের লোক কিছু বুঝে ওঠার আগেই অবস্থা বেগতিক হয়ে যায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অপর একটি ঘটনা ঘটে সীমান্তবর্তী চাকুলিয়া গ্রামের ঘটনা।মৃত এগারো বছরের বোধা শবর। জানা যায় বোধার ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে সাপে কামড়ায় । তাঁকে কামড়ানোর পর সাপটিকে চলে যেতে দেখে পরিবারের লোকেরা। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।