ডিএ বিতর্কে তোলপাড় রাজ্য। সেই নিয়েই সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন আগামীকাল ১০ই মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আর এই ধর্মঘট কার্যকরী হতে না দেওয়ার জন্যেও উঠে পড়ে লেগেছে নবান্ন। নবান্নের তরফে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, যারা ধর্মঘটের দিন দপ্তরে গরহাজির থাকবেন তাঁদের বেতন কাটা যাবে পাশাপাশি চাকরি জীবনে পড়বে ছেদ। এমনকি নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোনও সরকারি কর্মচারী ঐ দিন ছুটিও নিতে পারবেন না। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্কুল-কলেজ-সহ যাবতীয় সরকারি এবং সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠান ওই দিন পূর্ণ সময় খোলা থাকবে। কেবলমাত্র চারটি শর্তেই ছুটি মঞ্জুর করা হবে।
কোন চার ক্ষেত্রে ছুটি মঞ্জুর হবে তাও নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি দেখে নিন-
-
পরিবারের কারও যদি প্রয়াণ ঘটে।
- কোনও কর্মচারী যদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন।
- যে কর্মচারীরা সন্তান পালনের ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি কিংবা ৯ মার্চের আগে মঞ্জুর হওয়া মেডিক্যাল বা আর্নড লিভ নিয়ে রেখেছেন।
-
কোনও কর্মী যদি ৯ মার্চের আগে থেকেই গুরুতর কোনও অসুখের কারণে অনুপস্থিত থাকেন।
নবান্নের কড়া নির্দেশ সত্বেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ সরকারী কর্মচারী সংগঠন। ধর্মঘটের আগে অর্থাৎ আজ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। আগামীকালও মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। সরকারী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অন্যান্য দপ্তর তথা বিভিন্ন সংগঠনও অংশ নিচ্ছে এই ধর্মঘটে। নবান্নের বহু প্রচেষ্টার পরেও কতখানি সফল হয় এই ধর্মঘট সেটাই এখন দেখার।