কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ক্রমশই তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ এবং শাসকদল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্বিগ্ন দিল্লির কেন্দ্র সরকার। এই অবস্থায় বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক এবং পড়ুয়াদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা (অ্যাডভাইসরি) পাঠাল নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার ওই সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে যে ভারতীয় নাগরিক এবং পড়ুয়ারা রয়েছেন, তাঁদের ‘ভ্রমণ বর্জন করা’ এমনকি, ‘বাড়ির বাইরে বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করা’র বার্তা দেওয়া হয়েছে ওই সরকারি নির্দেশিকায়। পাশাপাশি ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং খুলনার উপ-হাই কমিশনের ফোন ও হোয়াট্সঅ্যাপে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার অ্যাসিসট্যান্ট হাই কমিশনের এমার্জেন্সি নম্বরগুলি হল-
ঢাকা- ৮৮০-১৯৩৭৪০০৫৯১
রাজশাহি- ৮৮০-১৭৮৮১৪৮৬৯৬
চট্টগ্রাম- ৮৮০-১৮১৪৬৫৭৯৭/ ৮৮০-১৮১৪৬৫৪৭৯৯
সিলেট- ৮৮০-১৩১৩০৭৬৪১১
খুলনা- ৮৮০-১৮১২৮১৭৭৯৯
সবক’টি নম্বরে হোয়াটঅ্যাপও করা যাবে।
সংরক্ষণ নিয়ে আন্দোলনের জেরে বুধবার রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল, সিলেট এবং কুমিল্লা থেকেও অশান্তির খবর এসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র-যুবদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যত বনধের চেহারায় বাংলাদেশ।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে আগুন জ্বলছে গোটা বাংলাদেশজুড়ে। দফায় দফায় পুলিশ-পড়ুয়া সংঘর্ষে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মোট ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই সংরক্ষণের জন্যই সরকারি চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না সাধারণ মেধাবীরা। অন্যদিকে, হাসিনা সরকারের মত, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই তাঁদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ।