উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকারের সাড়ে চার বছরে একটিও দাঙ্গা হয়নি, সদর্পে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটের ঠিক ছ’মাস আগে তাঁর দাবি, একসময় যে উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই রাজ্য এখন পুরোপুরি হিংসামুক্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাড়ে চার বছর আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথ নির্বাচিত হওয়ার পরেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে রীতিমত আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু রবিবার যোগীর দাবি, তাঁর মন্ত্রীত্বকালে সম্পূর্ণ হিংসা মুক্ত ছবি দেখা গেছে উত্তরপ্রদেশে।
এই বিষয়ে রবিবার যোগী বলেন, তাঁর রাজ্য এখন পুরোপুরি দাঙ্গামুক্ত। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগী আদিত্যনাথ সাড়ে চার বছর পূর্ণ করেছেন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকারের এই সাড়ে চার বছরের সাফল্য তুলে ধরতে একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই যোগী দাবি করেছেন, “উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে সাড়ে চারবছর ধরে সুশাসন বজায় রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তরপ্রদেশ সম্পর্কে গোটা দেশের ধারণাই পালটে গিয়েছে। এটা সেই উত্তরপ্রদেশ যেখানে একটা সময় দাঙ্গাটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে এখানে একটাও দাঙ্গা হয়নি।”
বলাবাহুল্য, যোগী সরকার উত্তরপ্রদেশে আসার আগে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আবহ বিরাজ করতো। মুজফফরপুর দাঙ্গার স্মৃতি এখনও প্রত্যেকের মনে টাটকা। সেখান থেকে যোগীর দাবি অনুযায়ী, রাজ্যে শান্তি ফেরানো অত্যন্ত কৃতিত্বের। কিন্তু সত্যি কি ফিরেছে শান্তি? এমনটাই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যোগীর আমলে বড় কোনো দাঙ্গা না ঘটলেও সাম্প্রদায়িক অশান্তির ছবি বারবার উঠে এসেছে শিরোনামে। ঘটেছে হাথরাসের মত ঘটনাও। স্থানীয়রা প্রত্যেকেই স্বীকার করেন যে সংখ্যালঘুদের মধ্যে সর্বদাই একটা অজানা ভীতি কাজ করছে। তাছাড়াও অনেক ধর্মীয় হিংসার ঘটনাও মিডিয়ার লোকচক্ষুর আড়ালে ঘটেই চলেছে। কিন্তু এসব বিতর্কে আপাতত মাথা ঘামাতে রাজি নয় যোগী সরকার। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভই এখন মূল লক্ষ্য বিজেপির।