করোনার সংক্রমণ রুখতে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের, স্বাস্থ্যকর এবং কোভিডমুক্ত দেশ গড়ার নজিরে আজ থেকে শুরু হতে চলেছে “টিকা উৎসব”। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে নাজেহাল গোটা বিশ্ব, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বগামী, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে , কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তর মনে করছে ,আগামী দিনে কেবলমাত্র লকডাউন বা নাইট কারফিউ-এর মাধ্যমেই সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নয়, এর জন্য বিশেষ করে গণটিকাকরণের উপর নজর দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে এই বিশেষ টিকা দান অভিযান শুরু হবে আজ থেকেই এবং যা চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত । করোনা পরিস্থিতিতেই সর্বোচ্চ পরিমাণ সাধারণ মানুষের টিকাকরনের লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিহার, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই যোগ্য ব্যক্তিদের ‘টিকা উৎসব’-এ অংশগ্রহণ করার জন্যে আবেদন করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুসারে সর্বোচ্চ দ্রুতগতিতে ভ্যাকসিন নির্মাণ , গণ টিকাকরণের সূচনা এবং রেকর্ড সংখ্যায় সফলতার দিক থেকে চীন এবং আমেরিকার মতো দেশগুলিকে টেক্কা দিয়েছে ভারত। ভারতে গনটিকাকরণ শুরু হয়েছিল ১৬ জানুয়ারি। দৈনিক হারে ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ করোনা টিকা পাচ্ছেন বলেই জানাচ্ছে পরিসংখ্যান। একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণে টিকাকরণ হচ্ছে ঠিক তেমনি অপর দিকে সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী । ইতিমধ্যেই ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা ভোট চলছে, সেক্ষেত্রে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নির্বাচনী সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে মানুষের আগমন এই সংক্রমণকে আরও বেশি বাড়িয়ে তুলছে । প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এখানেই ,করোনার এমন পরিস্থিতিতে যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন নির্মাণ এবং গনটিকাকরণের দিকে নজর দিচ্ছে কেন্দ্র, সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন স্থগিত রাখা হচ্ছে না? অথবা কেনইবা কোভিড বিধির যথোপযুক্ত পালন করা হচ্ছে না নির্বাচনসংক্রান্ত কোন জনসভায় এবং ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে?