
করোনা আতঙ্ককে সঙ্গী করেই দিন কাটছে দেশবাসীর। এরই মাঝে সুখবর দিল সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, নভেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে করোনার অন্তত দু’টি টিকা বাজারে আসতে চলছে। শনিবার এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের সবুজ সঙ্কেত পেলে আগামী মার্চেই দেশে করোনা টিকা এসে যাবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা বানাচ্ছে সিরাম। এ ছাড়াও রাশিয়ার বানানো টিকা ‘স্পুটনিক ৫’-এর যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ভারতে স্থগিত রাখা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল সেই ট্রায়াল ফের শুরুর অনুমতি মিলেছে।

এই মুহূর্তে বিশ্বে মোট ১৫০টি করোনা টিকা বানানো হচ্ছে। তার মধ্যে অন্তত ১০টি টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে, টিকা বিতরণের রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, ‘বিপদসীমার’ মধ্যে থাকা প্রায় ৩০ কোটি মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে করোনা প্রতিষেধকের প্রায় ৬০ কোটি ডোজ। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, পুরসভা-পঞ্চায়েত এবং অত্যাবশকীয় সরকারি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীরা। সব মিলিয়ে প্রায় রয়েছেন তিন কোটি মানুষ। এছাড়া ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রায় ২৬ কোটি এবং কো-মর্বিডিটি যুক্ত বিভিন্ন বয়সের কয়েক কোটি ব্যক্তিও রয়েছেন অগ্রাধিকারের তালিকায়।