২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মী এবং বয়স্কদের জন্য মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। দু’টি ডোজের সর্বোচ্চ দাম পড়বে ১০০০ টাকা৷ শুক্রবার এমনটাই জানালেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। এদিন পুনাওয়ালা জানান, এপ্রিল থেকে
সবার জন্য দেশের বাজারে মিলবে ভ্যাকসিন৷ তবে তা নির্ভর করছে চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালের রিপোর্ট এবং সরকারি অনুমোদনের ওপরে৷
প্রসঙ্গত দীর্ঘ এক বছর ধরে করোনার কামড়ে কার্যত বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও করোনার দাপট পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়নি। এই পরিস্থিতিকে সঙ্গী করেই বাহিরমুখী হয়েছেন মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা লাগামহীন হলেও কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধ্য হচ্ছেন প্রত্যেকে। আর তাই ভ্যাকসিন মিললে সুবিধা হবে সাধারণের। তাই প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন কবে মিলবে সে প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে আমজনতার মনে।
এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন আদর পুনাওয়ালা। হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যেই প্রত্যেক ভারতীয়র করোনার টিকাকরণ হয়ে যেতে পারে৷ তিনি আরও জানান, ভারত সরকার কম দামে কিনবে এই ভ্যাকসিন। বাজারে অন্যান্য যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে, তার তুলনায় অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দাম কম রাখা হচ্ছে বলেই দাবি পুনাওয়ালার৷
তবে যতক্ষণ পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন মানুষের জন্য ১০০ শতাংশ নিরাপদ বলে প্রমাণিত হচ্ছে, ততক্ষণ তা শিশুদের ওপরে প্রয়োগ করা হবে না বলেই জানিয়েছেন পুনাওয়ালা৷ ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভারতে মাসে ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷ তবে তার মধ্যে কী পরিমাণ ভ্যাকসিন ভারত পাবে, সে বিষয়ে এখনও চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি৷
জানা গিয়েছে ব্রিটেনের সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস ইভ্যালুয়েশন এজেন্সি জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের অনুমতি দিলেই ভারতে এই ভ্যাকসিনের ইমার্জেন্সি ব্যবহারের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছে সিরাম ইন্সস্টিটিউট আবেদন করবে। এমনটাই জানিয়েছেন পুনাওয়ালা৷ তবে সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধা এবং বয়স্কদের ওপরেই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে৷