উপাচার্য নিয়োগ মামলায় ধাক্কা রাজ্যের, কী বলল হাইকোর্ট? এম ভারত নিউজ

admin

উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস।

0 0
Read Time:3 Minute, 6 Second

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত জারি রয়েছে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য। রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মামলায় হাই কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের নিযুক্ত উপাচার্যদের বৈধতা দিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করা যাবে না, বকেয়া সহ সমস্ত বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ জুন রাজ্যপালের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সম্প্রতি, উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, এই উপাচার্যদের শিক্ষা দফতর মানে না। তার কারণ, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই সকল উপাচার্যদের নিয়োগে শিলমোহর দিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। এরপরই সংঘাত বাধে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সুর চড়ান সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। শুধু মুখের কথাই নয়, নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের হয়।

রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপালের এই নিয়োগে সায় ছিল না রাজ্যের। শিক্ষা দফতরের তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করেই উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন। একতরফা নিয়োগের অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, শিক্ষা দফতর এই উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। তিনি ওই ১১ জনের কাছে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে ‘সসম্মান অনুরোধ’ জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা যেন পদ প্রত্যাহার করেন। যদিও তাঁর অনুরোধ কার্যত বিফলে যায়। ১১ জনের মধ্যে ১০ জনই আচার্যের দেওয়া পদ গ্রহণ করেছিলেন। এক জন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিয়োগ গ্রহণ করেননি।

আরও পড়ুন

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Next Post

মেয়াদ বাড়ল মুখ্যসচিব হিসেবে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। এম ভারত নিউজ

দ্বিবেদীর মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনে কোনও রদবদল প্রয়োজন হচ্ছে না।

Subscribe US Now

error: Content Protected