অপসারিত হলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে তাঁকে অপসারিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে ইমেলে সাধন চক্রবর্তীকে অপসারণের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৪ মার্চ উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রের খবর, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের শনিবার এক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য-সহ আন্দোলনকারীদের ডাকা হয়েছিল কথোপকথনের জন্য কিন্তু উপাচার্য আসেননি। আন্দোলনকারীরা এসেছিলেন তারা সমস্ত অভিযোগ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আসেননি। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে অপসারণ করা হয় এবং ই-মেল মারফত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন করের কাছে সেই বার্তা এসে পৌঁছয়।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪ জন উপাচার্যের নিয়োগ অবৈধভাবে হয়েছে এই নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলাও চলছিল। সেখানে ৩৪ নম্বরে এই উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তীর নামও ছিল। তাদেরকে রাজ্য সরকারের তরফে তিন মাসের এক্সটেনশনও দেওয়া হয়েছিল। তাই এই উপাচার্যর নিয়োগ অনৈতিক। এই দাবিতে আন্দোলন কিন্তু লাগাতার আন্দোলন চলছিল। শেষ পর্যন্ত উপাচার্য অপসারিত হলেন।