গতকাল মধ্যরাতেই অন্ধকারে ডুবে গেল গোটা পাকিস্তান। তাহলে কি কোন যুদ্ধের সংকেত! চিন্তার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে সাধারণ মানুষের মুখেও। গতকাল রাত্রে পাকিস্তানের স্থানীয় সময় ১১:৪৫ মিনিট নাগাদ বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে যায় পুরো দেশে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় 21 কোটি মানুষ। এরই মধ্যে রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর যথা করাচি, লাহোর ,ইসলামাবাদ , পেশোয়া ইত্যাদি।
গত রাত্রের এই ঘটনার মাঝেই টুইট করেন পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী ওমর আইউব খান। তাতে তিনি বলে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থায় হঠাৎই কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে যার ফলে গোটা দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরো আশ্বাস দিয়ে বলেন কি কারনে এই ঘটনা ঘটেছে তার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত সকল কর্মীরাই নিযুক্ত হয়েছেন এই ঘটনার তদন্তে।
প্রাথমিক ভাবে জানানো হচ্ছে সম্ভবত গ্রীড ব্রেক ডাউন এর কারনে এহেন পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে, এবং পাকিস্তানের এক অংশ হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়ে আশঙ্কা করেছেন সাধারণ মানুষও। ব্ল্যাকআউট এর পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে ইন্টারনেট পরিষেবা এমনকি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও ব্যাহত হবে বেশ কিছুটা।
গতকাল এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর থেকেই ব্ল্যাকআউট কথাটি বেশ ট্রেন্ডিং হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন দেশ কি তাহলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সম্মুখীন যুদ্ধের পূর্বাভাস নাকি অন্য কোন সংকেত !ব্ল্যাকআউট পাকিস্তান:?
তবে পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম নয় এর আগেও ২০১৫ সালে এমনই এক জানুয়ারি মাসে হঠাৎই ব্ল্যাক আউট হয়ে গেছিল গোটা দেশের ৮০ %। সেইবারেও জানানো হয়েছিল যে নেশনাল গ্রীড বসে যাওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তৎকালীন বিদ্যুৎমন্ত্রী আবিদ শের আলি অভিযোগ করেন, বিদ্রোহীরা দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তান প্রদেশের নাসিরাবাদ জেলায় পাওয়ার গ্রিড বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই কাজ করেছে। এই ঘটনায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পরেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।