কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ। শনিবার নিশীথের কর্মসূচি ছিল পূর্বঘোষিত। তবে দুপুরে তিনি কোচবিহারের বুড়িরহাট এলাকায় পৌঁছতেই শুরু হয় তুলকালাম। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। নিশীথের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পরে দুই পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে গুলি, বোমাবাজির অভিযোগ করেছে। অভিযোগ উঠেছে, দলীয় কার্যালয়ে হামলারও। পুলিশ, মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। নিরাপদে বের করে আনার চেষ্টা করা হয় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে।
এদিন নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘এই ধরনের সংস্কৃতি বাংলার বুকে ছিল না। তবে একটাই কথা বলব, দুষ্কৃতীদের দেখে পালানো নয়। চোখে চোখ রেখে লড়াই করাটাই আমার কাজ।’ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নিশীথ। বলেন, ‘পুলিশ উল্টে আমাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে। আমাদের লোকের উপর লাঠিচার্জ করা হচ্ছে। অথচ যারা কালো পতাকা দেখাচ্ছে, পাথর বৃষ্টি করছে, বোমা মারছে তাদের প্রতি নমনীয় ব্যবহার করছে।’
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর পাল্টা দাবি, ‘জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছা বাছা দুষ্কৃতী নিয়ে, ৩০-৪০টা গাড়ি নিয়ে ও দিনহাটায় ঢুকেছে। কেন ঢুকল এত গাড়ি নিয়ে? আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ওখানে গুলি চালিয়ে, বোমা মেরে ও এখন ভেটাগুড়িতে গিয়ে পথ অবরোধ করছে। নাটক করছে।’
এদিন, ভেটাগুড়িতে প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি ভেটাগুড়ি বাজারে নিশীথ প্রামানিকের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল করে কর্মীরা। সন্ধ্যায় উদয়ন গুহকে হুঁশিয়ারীও দিতে শোনা যায়। উদয়নের কথায়, ‘বুড়িরহাট এলাকায় একটিও বিজেপি কর্মী যেন বাইরে বেরোতে না পারে। যদি বের হয় নিশিত প্রামাণিককে এর ফল ভুগতে হবে বুড়িরহাটের বিজেপি কর্মীদের।’ উদয়ন গুহের হুঁশিয়ারীর পর দিনহাটার কালমাটি এলাকায় দিনহাটা বিজেপির শহর মন্ডল সাধারণ সম্পাদক মুন্না সাউয়ের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বিজেপি। সন্ধ্যায় রাজভবন যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে ‘নিরাপদ নন’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।