দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে রাজত্ব করা বাম শাসন কে পরাজিত করে ২০১১তে বাংলার মসনদে পরিবর্তন এনেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে রাজত্ব করা বাম শাসনকে পরাজিত করে ২০১১তে বাংলার মসনদে পরিবর্তন এনেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দেশের সর্বত্র বামফ্রন্ট সরকারের চিত্র তলানিতে এসে ঠেকলেও কেরলে এখনো রাজত্ব করে চলেছে বাম সরকার।বহুদিন ধরেই বিজেপিকে দিল্লির মসনদ থেকে হারাতে রাজ্যের বিজেপি বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করছে। কিছুদিন আগেই মমতা ব্যানার্জি দিল্লিতে গিয়েছিলেন বাদল অধিবেশন। সেখানে গিয়ে তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ইতিবাচক কোনো বৈঠক করেন। আর বৈঠক শেষে তিনি দেশের সমস্ত অবিজেপি দলগুলির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ এবং জোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।দিদির আহ্বানে এবার বাম শাসিত রাজ্য কেরলেও ঘাসফুল শিবিরের প্রাধান্য দেখতে পাওয়া গেল। কেরলের এর্নাকুলামের রাস্তায় প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে।

২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনে একমাত্র বাম শাসিত রাজ্য কেরল যেখানে মাত্র ৫ জন তৃণমূল প্রার্থী দিতে পেরেছিল, সেই রাজ্যেই ইতিমধ্যে ৫১ জনের কমিটি গঠন করেছে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি এদিন কেরলের এর্নাকুলামে বহু রাজনৈতিক কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির লক্ষ্য একটাই দিল্লির মসনদে থেকে হারাতে হবে বিজেপিকে। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জিকে সামনে রেখেই চলছে যাবতীয় পরিকল্পনা।২০২১এ বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই ত্রিপুরায় ইতিমধ্যে তৃণমূলের শাখা বিস্তারে কাজ শুরু করে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের অআইপ্যাক টিম, অভিষেক ব্যানার্জি, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব।পাশাপাশি যোগীরাজ্যেও তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক পার্টি অফিস খোলা হয়েছে। বাম শাসিত রাজ্যের সঙ্গে জোট মিলিয়ে এবার দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিস্তৃত হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।