
26 শে অগস্ট চিন দক্ষিণ চিন সাগরের মূল ভূখণ্ড থেকে তার সবচেয়ে সক্ষম দুটি প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে ছিল। সূত্রের খবর, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পার্সেল দ্বীপপুঞ্জের নিকটে একটি চলমান জাহাজের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। তবে ড্রাগনের দেশ কেন এই ঘটনা কেন এত দেরীতে দাবি করল তা স্পষ্ট নয়। চিনের দাবি, সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। যদিও আমেরিকা তা মানতে নারাজ।

অগস্টের ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের সময় স্পষ্ট ছিল যে দুটি দেশের মধ্যে কৌশলগত দ্বন্দ্বের মধ্যেই বেইজিং পিএলএ রকেট ফোর্সের মাধ্যমে সমুদ্রে আমেরিকার উপস্থিতির বিরুদ্ধে “সতর্কতা শট” দিল চিন। প্রসঙ্গত একদিন আগে মার্কিন সেনা চিনের উত্তর-পূর্ব উপকূলে বোহাই সাগরে একটি চিনা নেভাল লাইভ-ফায়ার ড্রিলের কাছে একটি U-2S ড্রাগন লেডি গুপ্তচর বিমান ওড়ায় । এর আগের মাসে ইউএস নেভি দক্ষিণ চিন সাগরে দুটি বিমানবাহী ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের বিমান পাঠিয়েছিল।

প্রসঙ্গত এর আগে দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় অন্তত দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে চিন। একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয় ডংফেং সিরিজের মাঝারি পাল্লার ডিএফ-২১ডি এবং দূরপাল্লার জাহাজ-বিধ্বংসী ডিএফ-২৬বি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য বিস্তার ঘিরে তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছে চিন। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, ‘‘দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চল ঘিরে এই সামরিক অনুশীলন সেখানে উত্তেজনা প্রশমন ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নীতির পরিপন্থী।’’ অনেকে মনে করেছেন, মার্কিন নৌবহরকে চাপে রাখতেই এরকম করছে চিন।