বছরখানেক আগে আমেরিকার মিনিয়াপোলিস এ কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। মাটিতে ফেলে জর্জের ঘাড়ের উপর হাঁটু চেপে ধরেছিলেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মী ডেরেক। তাতেই ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় জর্জের। মৃত্যুর আগে অব্দি জর্জ মৃত্যু যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন “আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।” তাতেও করুণা হয়নি সেই পুলিশকর্মীর। শেষ মুহূর্ত অবধিও জর্জকে ছাড়েননি তিনি। মর্মান্তিক এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল গোটা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই ঘটনার প্রায় এক বছর পর অবশেষে জর্জের পরিবারের মিলল শান্তি। জর্জ ফ্লয়েড কে খুনের অভিযোগে শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মী ডেরেক চৌভীন কে দোষী সাব্যস্ত করল মার্কিন আদালত। আদালত এই রায় দেওয়ার পর জর্জের ভাই সংবাদমাধ্যমকে জানান “আজ আবার শ্বাস নিতে পারছি আমরা।” আদালতের এই রায়ে কার্যতই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল ফ্লয়েড পরিবার।
অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশ কর্মী ডেরেককে দ্বিতীয়-ডিগ্রি অনিচ্ছাকৃত হত্যা, তৃতীয়-ডিগ্রি হত্যা এবং দ্বিতীয়-ডিগ্রি নরহত্যায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
জর্জের মৃত্যুর সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই তীব্র ক্ষোভ এবং আক্রোশে ফেটে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল বিশ্বজুড়ে। বর্ণ বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল গোটা মার্কিন মুলুক। হাজার হাজার মানুষ “ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার্স” প্ল্যাকার্ড হাতে নেমেছিলেন রাস্তায়। এদিন রায় বেরোনোর পর মিনিয়াপোলিস এর একটি হোটেলে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়।সেখানে আমেন লেখা পোস্টারের সাথে দেখা পেলে ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার্স’ প্ল্যাকার্ডও। কার্যতই জর্জের প্রতি এই সুবিচারকে সকল কৃষ্ণাঙ্গদের স্বাধীনতার নামান্তর হিসেবেই মনে করছেন অনেকে।