বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ এর নন্দীগ্রামের সভা করতে গিয়ে হঠাৎ এই ঘোষণা করেন যে নন্দিগ্রামের মাটি থেকেই প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে চান তিনি । পরবর্তীতে সেই হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই ইচ্ছা প্রকাশের সময় তিনি বলেছিলেন বিধায়ক হীন এই কেন্দ্রকে তিনি ছেড়ে দিতে পারবেননা কারণ তার কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন এবং এবছর বিজেপির হয়েই ওই একই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তিনি।
হিসেব বলছে ১৮ দিনের মাথায় নন্দীগ্রামে গেলেন তিনি ।গত ১০ ই মার্চ নন্দীগ্রাম থেকেই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। পূর্বঘোষণা মত 5 দিনের টানা কর্মসূচি নিয়ে নন্দীগ্রামে গেছেন তিনি। রেয়াপাড়া শিব মন্দিরে প্রথম সভা করতে গিয়েই তিনি বলেন নন্দীগ্রামের মানুষের লড়াইকে সমর্থন করেন তিনি। তাই বিধায়কহীন এই কেন্দ্রের প্রার্থী হতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের সমর্থনে কোন খামতি দেখা যায়নি । সেখানকার দলীয় ছেলে থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ দুহাত তুলে তাতে সমর্থন জানিয়েছেন বলেই তিনি এখানে প্রার্থী হয়েছেন।
কিছুদিন আগেই বিরোধীদলের তরফ থেকে মন্তব্য করা হয়েছিল ভবানীপুরে মাটি আলগা হওয়ায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তবে আজ এই পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি
বললেন, “ভবানীপুরের মানুষ আপনজন। রোজ দেখা হয় তাঁদের সঙ্গে। সেখানে দাঁড়ালেও ৫০ হাজার ভোটে জিততাম। বাংলার যেখান থেকে ইচ্ছে দাঁড়াতে পারি। আমি নন্দীগ্রামকে প্রণাম-সেলাম করার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি।” তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত প্রান্তের মানুষ তাঁর নিজের ,তাঁর কাছের- এমনই একটি বার্তা প্রেরণ করতে চাইলেন তিনি আজকের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।