গুগলের পর এবার ইউটিউব। ইউটিউব প্রধান হচ্ছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বৃহস্পতিবারই রাতারাতি ইউটিউবের সিইও-র পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সুজান উইচিশকি । তাঁর জায়গায় নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীল মোহন। জানা গেছে, মূলত পরিবারে সময় দেওয়ার জন্য এবং ব্যক্তিগত কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত সুজানের। তবে তাঁর জায়গায় আসা নীল মোহনের কৃতিত্ব, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার পাহাড়ও বিশাল।
ইউচিউবের জন্মলগ্ন থেকেই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুজান। গুগলেরও শুরুর দিকের অন্যতম প্রধান কর্মচারী ছিলেন তিনি। বিগত ২৫ বছর ধরে তিনি গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সংস্থা অ্যালফাবেটের সঙ্গে যুক্ত। গুগলের আগে তিনি ইন্টেল সংস্থাতেও কাজ করেছেন। তাঁর বাড়ির গ্যারাজ থেকেই পথচলা শুরু করেছিল ইউটিউব। ২০১৪ সালে তিনি ইউটিউবের সিইও হন। বিগত ৯ বছর ধরে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে, ইউটিউবের নতুন সিইও নীলও দীর্ঘদিন ধরেই ইউটিউবের সঙ্গে যুক্ত। নীল মোহন বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি গুগলে যোগ দেন। এরপরে ২০১৫ সালে তিনি চিফ প্রোডাক্ট অফিসার হন। ইউটিউব শর্টস, ইউটিউব টিভি ও মিউজিক তৈরির পিছনে তাঁর অন্যতম ভূমিকা রয়েছে।
দায়িত্ব নেওয়ার পরে নীল বলেন, ‘ইউটিউবকে ব্যবহার করে রেকর্ড আয় করছেন ভারতীয় ইউটিউবাররা। ইউটিউব শুধু যে ‘ক্রিয়েটার’ বা যাঁরা ইউটিউবের জন্য ভিডিও বানান, তাঁদেরই দর্শককুল তৈরি করে দিচ্ছে তাই নয়, একই সঙ্গে এর মাধ্যমে বৃহৎ অর্থনৈতিক সুযোগও তৈরি হচ্ছে। যে সুযোগের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে ব্যবসা।’ তাঁর এই কথায় আশার আলো দেখেছে বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা মন্দার বাজার। কঠিন সময়ে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আয়ের ও বিনিয়োগের বড় জায়গা হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।