৯১ বছরে দৌড় থামল মিলখা সিংহের। চণ্ডীগড়ের পিজিআই হাসপাতালে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। করোনাই কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। দৌড় থামল মিলখা সিং-এর। কীভাবে আর উড়ান উপহার পাবো আমরা? তুমিই তো ছিলে ‘ Flying Sikh’ আর ফিরবে না চোখের পলকেই পার করা ছুটে যাওয়াগুলো। তবে রাস্তায় কিংবা গলির মোড়ে ওই ছেলেটা যখনই দৌড় দেবে হঠাৎ, তুমি রয়ে যেও তাদের মধ্যে।

এ দিন মিলখা সিংয়ের মৃত্যুর খবর পরিবারের তরফে নিশ্চিত করতেই গভীর শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমৃন্দর সিং, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশ-বিদেশের বহু বিশিষ্টজনেরা। জানা গিয়েছে, করোনামুক্ত হওয়ার পরেও তিনি বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। সুস্থ হওয়ার পরে বুধবার পর্যন্ত মিলখা সিংকে কোভিড মেডিক্যাল ইনটেসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মিলখা সিংয়ের অক্সিজেন লেভেল কমে যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যার শারীরিত অবস্থা সংকটজনক হয়ে দাঁড়ায়, তাঁকে হার মানতে হয় জীবন দৌড়ে। গত ২০ মে করোনা আক্রান্ত হন মিলখা সিং। ২৪ মে মোহালির হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ২৪ মে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। কিন্তু ৩ জুন আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় মিলখাকে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি অ্যাথলিট। নতুন করে জ্বর আসে তাঁর, রক্তে কমে যায় অক্সিজেনের মাত্রা। গুরুতর মিলখা সিংকে অসুস্থ হয়ে পড়লে চণ্ডীগড়ের একটি হাসপাতালে আইসিসিইউ-তে রাখা হয় তাঁকে।
হারিয়ে গেল ফ্লাইং শিখ। হয়তো এই মর্মে আর কেউ পারবে না সমগ্র প্রহিথিবীর মন জয় করে নিতে। তিনি ৪ বার এশিয়ান গেম্সে গোল্ড মেডেলিস্ট। ১৯৬০-র রোম অলিম্পিকে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ৪০০ মিটার দৌড়ে। ওনার সময় ছিল ৪৫.৬ সেকেন্ড, ৩৪ বছর ধরে এটাই ন্যাশনাল রেকর্ড হয়ে থাকে। ১৯৫১ পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন মিলখা।