দেশের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে হংকং থেকে নিয়ে আসা হল ৮০০ ঘন অক্সিজেন । দেশের করোনা সংক্রমনের মাত্রা বেলাগামভাবে বেড়ে চলেছে, অক্সিজেন এবং পর্যাপ্ত বেডের সমস্যায় ভুগছেন সাধারন মানুষ। প্রাণ দিতে হচ্ছে তাঁদের ,তাই সেই সমস্যায় তৎপরতা দেখিয়ে হংকং থেকে স্পাইসজেট করে তুলে আনা হলো ৮০০ ইউনিট ঘন অক্সিজেন। সেই অক্সিজেন কলকাতা হয়ে দিল্লি এয়ারপোর্টে পৌঁছেছে। বর্তমানে দিল্লির অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে ইনহাউজ বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, যদি কোন রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য বেশি পরিমাণে অক্সিজেন থাকে অনুগ্রহ করে, দিল্লি সরকারকে দেওয়া হোক। তাতে আগামী দিনে দিল্লির সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও বেঁচে থাকার সুযোগ পাবে ।
ওদিকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য স্পাইসজেট সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে স্পাইসজেটের বিমানে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আরও ১০ হাজার ইউনিট ঘন অক্সিজেন আনা হবে। স্পাইসজেট সংস্থার অধীনস্থ স্পাইসহেল্থ। এখনও পর্যন্ত এই সংস্থার তরফে গোটা দেশে ২০ লক্ষ RT-PCR টেস্ট করা হয়েছে। দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে আগামী দিনেও এভাবেই কাজ করবে স্পাইসজেট। সংস্থার তরফে এমনই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ওদিকে জার্মানি সরকারের তরফ থেকে ২৩ টি মোবাইল অক্সিজেন প্লান্ট পাঠানো হচ্ছে ভারতে । ওই প্রতিটি প্লান্টে প্রতি মিনিটে ৪০ লিটার অক্সিজেন তৈরি হবে। প্রতি ঘণ্টায় প্রতি প্লান্টে ২ হাজার ৪০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে। যেগুলি সাধারণ মানুষের অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করবে বলেই আশাবাদী জার্মান সরকার। এছাড়াও জার্মান সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই করোনা পরিস্থিতিতে ভারতকে সহায়তা করতে পেরে খুশি তাঁরা।